শেখ সাইফুল ইসলাম কবির: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিউধরা ইউনিয়নের পাজাখোলা গ্রামে এক কৃষক পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে ৫ বিঘা ফসলি জমির বীজপাতা বিনষ্ট করেছে প্রতিপক্ষরা। আমন মৌসুমে ফসল বুনতে দেয়নি প্রতিপক্ষ প্রভাবশালি মহল।
সরেজমিনে, পাজাখোলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রিপন হাওলাদার, মিজানুর রহমান স্বপন ও মাহফুজ হাওলাদার বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পার্শ্ববতী মংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের সুলতান হাওলাদার, ডা. খান হাবিবুর রহমান ও গৌতম হালদারের নিকট থেকে প্রতিবছর নগদ হাড়ির টাকা দিয়ে ৫ বিঘা জমিতে মৎস্য ও ধান চাষাবাদ করে আসছেন। এ জমিতে বছরে উৎপাদিত ফসল থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়।
সম্প্রতি পার্শ্ববতী বাইনতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন চাপরাশি প্রতিহিংসা শিকার হয়ে বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে আসছে।
বর্তমান আমন মৌসুমে জমিতে বীজপাতা রোপন করতে পারেনি ওই কৃষক পরিবার। এতে তাদের অর্ধলক্ষ টাকা মূল্যের ২০ পোন রোপা আমন বীজ বিনষ্ট করা হয়েছে।
প্রকৃত জমির মালিককে বিবাদী না করে রিপন হাওলাদারসহ তার ২ সহোদরের বিরুদ্ধে বাগেরহাট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। যার প্রেক্ষিতে মহামান্য আদলত বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দায়েরের জন্য ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষক পরিবার বিষয়টি ন্যায় বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ সর্ম্পকে দেলোয়ার হোসেন চাপরাশি বলেন, রিপন হাওলাদারের রাখা জমির মধ্যে তার জমি রয়েছে। আইনের মাধ্যমে তিনি জমি ফেরৎ পেতে চান। কাউকে তিনি হয়রানি করছেন না।